গাজীপুরের বোর্ড বাজারে ফুট ওভারব্রীজ চাই,আর নয় পঙ্গুত্ব,অকাল মৃত্যু,কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ
রেজানুর ইসলাম,গাজীপুর:
যেই বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এতো ভালোভাসতেন পাকিস্তানের কারাগারে থেকেও তিনি বলেছিলেন তোমরা যদি আমাকে মেরে ফেলে দাও কোনো আপত্তি নাই,মৃত্যুর পর তোমরা আমার লাশটা আমার বাঙালির কাছে দিয়ে দিও,এই একটা অনুরোধ তোমাদের কাছে।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়,মানবতার জননী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় এমন নির্মমভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মৃত্যুবরণ করবে আর তার কোনো প্রতিকার হবে না এটা কখনো কল্পণাও করা যায় না।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নং ওয়ার্ডের বোর্ড বাজার এলাকার পূর্ব পাশে বটতলা রোড হতে ভাই ভাই সুপার মার্কেট পশ্চিম পাশে মসজিদ রোড থেকে থ্রি-স্টার রেষ্টুরেন্ট পর্যন্ত মাত্র ৪০-৫০ মিটার দূরত্বের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হয়।সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি র্দুৃঘটনা সাধারণ মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে ।এখানেই রাস্তা পারাপারের সময় ইতিমধ্যে কয়েকটি তরতাঁজা প্রাণ ঝরেছে আহত হয়েছে অসংখ্য,পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অনেকে । এযেনো মৃত্যু ফাঁদ ।মৃত্যুর প্রতিবাদে হয়েছে মানব বন্ধন,প্রকাশ হয়েছে পত্রপত্রিকায় সংবাদ। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিদিন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান নামাজ পরেন। ৩৫ নং ওয়ার্ডের বৃহত্তম কাঁচা বাজারে এই ছোট্ট স্থান দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় নিরাপদে রাস্তা পারাপার হওয়ার জন্য আজও এখানে কোনো ফুট ওভার ব্রিজ বা আন্ডার পাস গড়ে উঠেনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহল থেকে এখানে ফুট ওভার ব্রিজ হবে বলে আশারবানী শোনালেও আজও এখানে কোনো ওভার পাস বা আন্ডার পাসের ব্যবস্থা হয়নি। তুলনামূলক কম চাহিদা সম্পন্ন স্থানে ফুট ওভার ব্রিজ হয় কিন্তু কেনো জানিনা মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তার বিষয়টি এখানেই উপেক্ষিত হয়। বিআরটি প্রোজেক্ট-৩ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কোনো ফুট ওভার ব্রিজ বা আন্ডার পাস প্লানে নেই। নামাজ পড়া, বাজার করা, বা অন্য কোনো কারণে রাস্তা পারাপারের একমাএ উপায় কালাই মার্কেট সংলগ্ন ওভার ব্রিজ। যদি তাই হয় বর্তমানে রাস্তায় যে ডিভাইডার দেওয়া হচ্ছে তার উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেকোনো গাড়ি লেন ক্রস করে অন্য লেনে প্রবেশ করতে পারবে। একই সময় যদি বিপরীত দিক থেকে কোনো গাড়ি আসে তাহলে মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হবে মহা সড়ক। ইতিমধ্যেই বড়বাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার অতিক্রম করে অন্য লেনে প্রবেশ করার ঘটনা ঘটেছে। ভাগ্য ভালো ঐ সময় বিপরীত দিক থেকে কোনো গাড়ি আসে নাই তাহলে অসংখ্য মানুষের প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা ছিল। ডিভাইডার অতিক্রম করে মানুষ সহজেই রাস্তা পারাপার হতে পারবে। আর যেহেতু ডিভাইডারের প্রশস্থতা কম সেখানে মানুষ দাড়ালে সামনের অথবা পিছনের দ্রুতগতিতে চলমান গাড়িতে দূর্ঘটনার কবলে পরবে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে অনুরূপভাবে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন খাইলকুর বাদশা মিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যায়ের সিনিয়র শিক্ষক আজগর আলী হেলেন স্যারসহ আরও অনেকে। আবার অনেকেই আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
স্কুল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা বোর্ড বাজার ও এর আশেপাশের এলাকার সকল অভিভাবকেরা এখন আতঙ্কিত। স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার পর আমাদের সন্তানেরা কিভাবে এই মহাসড়ক পারাপার হবে সেই ভাবনায় আমরা চিন্তিত ও আতঙ্কিত। গাজীপুর -২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান গাজীপুর-২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপির নিকট আমাদের বিনীত অনুরোধ আপনি আমাদের অভিভাবক,আপনি আমাদেরকে,আমাদের সন্তানদেরকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন। বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি ফুট ওভার ব্রিজ বা একটি আন্ডার পাসের ব্যবস্থা করে দিন যাতে আমরা আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে নিরাপদে রাস্তা পারাপার হতে পারি। বোর্ড বাজারসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ আশায় বুক বেঁধে আছেন অচিরেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি আন্ডার পাস বা ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে এলাকাবাসির প্রাণের দাবী পূরণ করবেন।